এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের মতো ভারতও করোনা ভাইরাসের হানায় থরহরিকম্প। রোজই বাড়ছে প্রায় ৫০ হাজার করছে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আইনি ও সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা থাকায় সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনে এই বছর নভেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যে বিহার, বাংলা-সহ ছ’টি রাজ্যের ভোট করার জন্য জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা-আক্রান্তদের এবং আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত নন অথচ উপসর্গ আছে, এমন ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুযোগ দিতে কমিশনের আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের বিধি সংশোধন করেছে। আবার সেই সঙ্গে অশীতিপর ও বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুযোগ দিতে গত বছরই নিয়মে বদল এনেছে তারা।
কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই তিন ধরনের ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, তা চলতি ব্যবস্থার চেয়ে আলাদা। সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ ও ভোটকর্মীদের ভোট পোস্টাল ব্যালটে নেওয়ার ব্যবস্থায় আগেই পরিবর্তন করেছে কমিশন। ডাকযোগে পেপার ব্যালট পাঠানোর পরিবর্তে ইলেকট্রনিক বা বৈদ্যুতিন পদ্ধতি কমিশন চালু করেছে। অশীতিপর ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের মধ্যে যাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগ্রহী, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতে হাতে পেপার ব্যালট পৌঁছে দেবে কমিশন। সে রকম কোনও ভোটার ভোট দেওয়ার পর কমিশনের লোকজন তা খামে ভরে সিল করে তাঁর সামনেই ব্যালট বাক্সে ভরে নেবেন।
সেই জন্য ভ্রাম্যমাণ ব্যালট বাক্স, পেপার ব্যালট-সহ কমিশনের লোকজন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন ভোটের দিন কয়েক আগেই। তাঁদের সঙ্গে প্রার্থীরা ও বিভিন্ন দলের লোকজনও থাকতে পারবেন। কমিশনের কর্তাদের বক্তব্য, হোম কোয়ারানটিনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতেই পেপার ব্যালট পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া, আবেদনকারীর সংখ্যা বিচার করে সেফ হোম ও সরকার স্বীকৃত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও বুথ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। তবে পরিস্থিতি বিচার করে এই ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন রিটার্নিং অফিসারই। আর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগ্রহী সব ভোটারকেই উপযুক্ত কারণ-সহ রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।