মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন, ইরান, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। দৈনিক নতুন সংক্রমণ শুক্রবারই পৌঁছেছিল ৪৯ হাজারের গণ্ডিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৯১৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৬১। আক্রান্তের পাশাপাশি সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ১১.৬২ শতাংশ।
শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। গোড়া থেকেই এই রাজ্য কার্যত সংক্রমণের শীর্ষে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ন’হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ১১৭ জন। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৪৯ জন। জুনের তুলনায় বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজধানী দিল্লীতে দৈনিক সংক্রমণে বেশ খানিকটা লাগাম পড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ২৮ হাজার ৩৮৯ জন। গত কয়েক দিনে কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। যার জেরে সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই দুই রাজ্য। কর্ণাটকে মোট আক্রান্ত ৮৫ হাজার ৮৭০ জন ও অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ৮৫৮ জন।
মৃত্যুর নিরিখে স্পেন ও ফ্রান্সকে আগেই টপকে গিয়েছে ভারত। শনিবার দেশে মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার পেরাল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭৫৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৩১ হাজার ৩৫৮ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লীতে প্রাণ গিয়েছে তিন হাজার ৭৭৭ জনের। ৩ হাজার ৩২০ জনের মৃত্যু নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাতে ২ হাজার ২৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনার কারণে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়লেও, সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩২ হাজার ২২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।