দেখতে দেখতে সময় হয়েই এল। হাতে আর মাত্র ৪ মাস। তারপরেই শেষ হয়ে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ। আগামী ৩ নভেম্বর নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবে আমেরিকার জনতা। ফলে, এই মুহূর্তে করোনা আবহেও সমীক্ষা ও জল্পনায় সরগরম মার্কিন রাজনীতি। মসনদ ধরে রাখা যে খুব সহজ হবে না, তা স্বীকার না করলেও বুঝে গিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী তথা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই নির্বাচনে হারলেও ফলাফল মেনে গদি না ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
গত রবিবার ফক্স নিউজের ক্রিস ওয়ালেস-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। কথার ফাঁকে সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস সরাসরি ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি এটাই বোঝাতে চাইছেন যে নির্বাচনের ফল আপনি নাও মানতে পারেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘না, আমাকে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলে এখনই আমি হ্যাঁ বা না বলব না, গতবারও আমি তাই করেছি। আমাকে বিষয়টা বুঝতে হবে।’
ট্রাম্পের এই হোয়াইট হাউস না ছাড়ার ইঙ্গিতে প্রবল ক্ষুব্ধ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার নেন্সি পেলোসি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যেতে না চাইলে পোকার মতো তাঁকে তাড়ানো হবে। অন্যদিকে, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন বলেছেন, ‘আমেরিকার জনগণই এই নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’ উল্লেখ্য, নিজের জায়গা অনেকটাই মজবুত করে ফেলেছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বিডেন।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে পোস্টাল ব্যালটের মতো মেইল-ইন-ব্যালটিং-এর মাধ্যমে বেশিরভাগ ভোট হওয়ার সম্ভাবনা আমেরিকায়। এই কথা মাথায় রেখে বারবার গোটা প্রক্রিয়ার ওপর প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ায় তাঁকে হারানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যদিও অন্য কোনও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কথাও তিনি কিছু বলেননি। বিশ্লেষকদের মতে, করোনা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা, ভুল বিদেশনীতি থেকে শুরু করে ডানপন্থার উত্থানে হালে পানি পাচ্ছেন না রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।