রাজস্থানের ১৮ কংগ্রেস বিধায়কের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে রাজস্থান পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপ। শচীন পাইলটের অনুগামী এই ১৮ বিধায়কের খোঁজ মিলছে না কোথাও। রবিবার রাতে ফের হরিয়ানার মানেসরে একটি রিসর্টে হানা দেয় রাজস্থান পুলিশের দল। কিন্তু খোলা হল না রিসর্টের গেট। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয় তদন্তকারী দলকে।
রাজস্থান পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁরা রিসর্টে ঢুকতে গেলে তাঁদের আটকায় হরিয়ানা পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা রিসর্টের বাইরে তাঁদের আটকে রাখা হয়। তারপর তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। রিসর্টের ভিতরে কোনও বিধায়ককে পাওয়া যায়নি। রবিবার রাতে তাঁরা যে রিসর্টে হানা দিয়েছিলেন তাঁর বাইরেও হরিয়ানা পুলিশের দল দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু এবার তাঁদের আটকানো হয়নি। যদিও রিসর্টের গেটই খোলেনি। রাজস্থান পুলিশের অনুমান, একটি নয়, বরং দুটি কিংবা তিনটি রিসর্টে রয়েছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা।
এই রিসর্ট রাজনীতি অবশ্য এর আগেও দেখা গিয়েছে। কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতনের আগে কংগ্রেসের কিছু বিধায়ককে এভাবেই রিসর্টে রাখা হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব কোনও ভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি। অন্যদিকে আবার এই বছরের শুরুতে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যখন ২২ কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের চার্টার্ড বিমানে করে বেঙ্গালুরুতে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে রিসর্টে রাখা হয়েছিল। তারপরেই মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারের পতন হয়। সেই রিসর্ট পলিটিক্স এখানেও চলছে।
শুক্রবার শোনা গিয়েছিল বিজেপি শাসিত হরিয়ানা থেকে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরু গিয়েছেন শচীন পাইলটের অনুগামীরা। কিন্তু তারপরে জানা যায় সেখানে তাঁরা যাননি। পাইলট শিবিরের এক বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে ফোনে জানান, বেঙ্গালুরু তাঁরা যাচ্ছেন না। কিন্তু তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওই বিধায়ক। শুক্রবার সন্ধেবেলা থেকে খোঁজ মিলছে না পাইলট শিবিরের বিধায়কদের।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে মানেসরের বেস্ট ওয়েস্টার্ন রিসর্টে যায় পুলিশের দল। তাদের কাছে খবর ছিল, সেখানে কিছু বিধায়ক রয়েছেন। কিন্তু পুলিশকে দেখেও রিসর্টের গেট খোলা হয়নি। তাদের বলা হয়, রাজ্য পুলিশের অনুমতি আনলে তবেই গেট খোলা হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ফিরে আসতে হয় তাদের।
এই ধরনের ঘটনা এই নিয়ে তিনদিনে দ্বিতীয়বার ঘটল। শুক্রবার সন্ধেবেলা মানেসরেরই আইটিসি ভারত গ্র্যান্ড রিসর্টে গিয়েছিল রাজস্থান পুলিশ। তাদের কাছে খবর ছিল, সেখানে বিদ্রোহী বিধায়করা রয়েছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ অনুযায়ী বিদ্রোহী বিধায়ক ভানওয়ার লাল শর্মার ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের। রাজস্থান পুলিশ অভিযোগ করে হরিয়ানা পুলিশ তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে।