২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন সুতীর্থা। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৯৫ হলেও ভারতীয়দের র্যাঙ্কিংয়ে তিনিই শীর্ষে। শেষ সাফ গেমসে তিনটি সোনা জিতেছেন নৈহাটির ২৪ বছর বয়সি খেলোয়াড়। কমনওয়েলথ টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে একটি সোনা, একটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ জিতে ফিরেছেন। এপ্রিলে ব্যাঙ্কক উড়ে যাওয়ার কথা ছিল অলিম্পিক্স যোগ্যতা অর্জন পর্বে যোগ দিতে। সেই প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ভারতের মণিকা বাত্রা, জি সাথিয়ান এবং শরৎ কমল হয়তো যোগ্যতা অর্জন করে যেতে পারেন। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভাল ফল হলেই টোকিয়োর টিকিট হাতে পেয়ে যাবেন বাংলার সুতীর্থা। তবে সমস্ত স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছে লকডাউন এবং করোনা।
ক্রিকেটার হলে মাঠে নেট প্র্যাক্টিস করে নিজেকে তৈরি রাখা যায়। সমস্যা হয় না ফুটবলারদেরও। কিন্তু ক্লাব না খুললে টেবল টেনিস খেলোয়াড়েরা প্রস্তুতি নেবেন কী ভাবে? বাড়িতে বোর্ড রাখার জায়গা অনেকেরই নেই। বন্ধ বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। করোনা অতিমারি তাই বড় কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলার টেবল টেনিস প্রতিভা সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের অলিম্পিক্স স্বপ্নে।
সুতীর্থা জানিয়েছেন, ‘‘সব দিক থেকেই খুব সমস্যায় পড়েছি। ক্রিকেটার, অথবা ফুটবলার হলে মাঠে গিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের ক্লাব না খুললে প্র্যাক্টিস করার সুযোগ নেই। তবুও বাড়িতেই যতটা সম্ভব ফিজিক্যাল ট্রেনিং, শ্যাডো প্র্যাক্টিস করছি। সৌম্যদীপদা ও পৌলমীদি অনলাইনে আমাদের ক্লাস করাচ্ছেন।’’ উদ্বিগ্ন গলায় যোগ করছেন, ‘‘অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচও সব বাতিল হয়ে গিয়েছে। কবে হবে তারও কিছু ঠিক নেই। তবু যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্যই নিজেকে তৈরি করে রাখছি।’’
সুতীর্থা যদিও মনে করেন, এই চার মাস গৃহবন্দি থাকার ফলে কিছু সমস্যা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। বলছিলেন, ‘‘ম্যাচ প্র্যাক্টিস না হলে ঠিক বোঝা যাবে না কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। তবে এত দিন সে ভাবে অনুশীলনের সুযোগ না পাওয়ায় রিফ্লেক্সের কিছুটা সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক