উম্পুনের ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে শাস্তিও পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে তা সত্ত্বেও বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের মুখ বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন তিনি।
বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কাজ নেই, কর্ম নেই। সরকারের ভাল কাজ দেখতে পায় না। তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। ৯৯ শতাংশ মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে টাকা ফেরত নিয়ে নেওয়ার। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বেশি বাড়াবাড়ি করছে। মনে রাখবেন চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। ৯৯ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত উম্পুনের টাকা পেয়েছেন, তাও কেউ কেউ ডার্টি পলিটিক্স করছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘অনেকে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেন নেই-এসব বলে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সেটা করবেন না। মানুষ এমনিতেই আতঙ্কিত।’ এদিন আবাসনগুলিকে অক্সিমিটার রাখার কথা বলেছেন। ক্লাবগুলিকেও পাড়ার ভাল-খারাপের দিকে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘সবসময় সরকার একা কাজ করবে, এটা ভাববেন না।’
এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়াত কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। কীভাবে তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা আলোচনা করছেন। পাশাপাশি, প্রয়াত কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আরও একবার জানিয়ে দেন মমতা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১২ জন কোভিড যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন জেলার সেই কোভিড যোদ্ধাদের হাতে মেডেল, ব্যাজ ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। তুলে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণও। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদেরও সম্মান জানানোর কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।