গত শুক্রবার ভোরে মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসার সময় কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এনকাউন্টারে খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চরমে উঠেছে বিতর্ক। দেশের বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, বিকাশ দুবের এনকাউন্টার পুলিশকর্মীদের সাজানো। বহু পাকা মাথাকে রেহাই দিতেই পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে তাকে। এরই মধ্যে ফের নয়া চমক এসেছে তদন্তে। বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে ব্যক্তি সেই রাহুল তিওয়ারি নিখোঁজ! রাহুলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই ৩ জুলাই বিকাশ দুবেকে ধরতে তার গ্রামে গিয়েছিল পুলিশের দল৷
গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা রাহুল তিওয়ারির পরিবারের সদস্যদের মত অনুযায়ী তিনি কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুয়ায়ী এই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরকারী ছাড়াও তিনি এই কাণ্ডের মূল সাক্ষীও৷ তাঁর কারণেই এতবড় কাণ্ডের একের পর এক অধ্যায় ঘটে যায়৷ কানপুরের সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক দীনেশ কুমার জানিয়েছেন রাহুলের জীবন এখন দারুণ সংকটের সামনে, যে কোনও সময় তাঁর প্রাণ যেতে পারে৷ এই মুহূর্তে ডিএসপি সুকর্ম প্রকাশের দল রাহুলের খোঁজে রয়েছেন৷
রাহুল তিওয়ারির মা সুমনা দেবী জানিয়েছেন রাহুল শেষবার বাড়ির সঙ্গে ২ জুলাই রাতে কথা বলেছিলেন৷ ফোনে খুব ভয়ে ভয়ে কথা বলছিলেন তিনি। এরপরেই নিজের স্ত্রী, সন্তান, বৌদির সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যান৷ পুলিশ জানিয়েছে রাহুল নিজের শ্বশুরবাড়ির গ্রামে জমি সংক্রান্ত কাজ করার কথা ছিল৷ তবে তাঁর স্ত্রী এই জমি বিক্রির বিরোধী ছিলেন। এরমধ্যে একজন আবার যাতে রাহুল জমি বিক্রি না করতে পারে তার জন্য বিকাশ দুবেকে হস্তক্ষেপ করতে আবেদন করেছিল৷
পুলিশের মতে, ১ জুলাই রাহুলকে বিকাশ দুবে হুমকি দেয়৷ এরপরের দিনই তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন৷ আর রাহুলের অভিযোগের পরেই পুলিশ ২ জুলাই সন্ধ্যাবেলায় দেবেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে বিকাশের কাছে পৌঁছয় ৷ সেখানে ২৫ জন পুলিশের দল গিয়েছিল৷ কিন্তু গুলির লড়াইতে ৮ জন পুলিশ কর্মী শহিদ হয়ে যান। সেই দলে ডিএসপি মিশ্রও ছিলেন৷ এরপরই শুরু হয় ধড়পাকড়। এবং অবশেষে মধ্যপ্রদেশে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই এনকাউন্টার করা হয় বিকাশ দুবের৷