জুনে ভোগ্যপণ্যের মূল্যসূচক বা পাইকারি মুল্যসূচক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ৬.০৯ শতাংশ। সোমবার সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে এপ্রিল ও মে মাসে কেবল খাদ্যপণ্যের মূল্যের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রকাশ করা হয়েছিল। সামগ্রিকভাবে ভোগ্যপণ্যের মূল্যসূচকের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার শেষবার প্রকাশিত হয়েছিল মার্চে। তখন মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ কোভিড অতিমহামারী ও লকডাউনের পরিস্থিতিতে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
করোনা অতিমহামারীর ফলে সামগ্রিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতি। আইএমএফ থেকে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ভারতের প্রতিটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই কাজকর্ম কমবে। অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৫ শতাংশ হারে। অর্থনীতির এই সংকোচন ঐতিহাসিক। কারণ নিকট অতীতে ভারতের অর্থনীতির বহর কখনও এভাবে কমেনি। তবে ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আইএমএফ আশা প্রকাশ করেছে।
২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ছয় শতাংশ হারে বিকশিত হবে বলে আইএমএফ মনে করে। ২০১৯ সালে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হয়েছিল ৪.২ শতাংশ হারে। গত এপ্রিলে আইএমএফ বলেছিল, ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৭.৪ শতাংশ হারে। এদিন তার থেকে ১.৪ শতাংশ কমিয়ে দেখানো হয়েছে।
চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতি বিকশিত হবে ৪.৫ শতাংশ হারে। গত এপ্রিলে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরকাস্টে বলা হয়েছিল, বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ হবে ৬.৮ শতাংশ। কিন্তু বুধবার তা ১.৯ শতাংশ কমিয়ে দেখানো হয়েছে। এদিন আইএমএফের চিফ ইকনমিস্ট গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘এখন বিশ্ব জুড়ে যে সংকট চলছে, তা অভুতপূর্ব। আমাদের মতে চলতি বছরে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৫ শতাংশ হারে।’