গত বছরই কর্ণাটকে ‘অপারেশন পদ্ম’ চালিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। সেসময় কংগ্রেস-জেডিএস বারবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগে সরব হয়েও গদি বাঁচাতে বিফল হয়। আর চলতি বছর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দলে নিয়ে মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস সরকার ফেলার কাজটা সেরে ফেলেছে বিজেপি। তারপর থেকেই ছত্রিশগড় এবং রাজস্থানে বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনার চেষ্টার সরাসরি অভিযোগ তুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
শনিবার তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে বিজেপি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস শাসিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি কংগ্রেস বিধায়কদের মোটা টাকার লোভ দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গেহলটের স্পষ্ট অভিযোগ, দলবদল করার জন্য বিধায়কদের মাথাপিছু ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার লোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। এই মর্মে এদিন সকালেই রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন বিধানসভার চিফ হুইপ মহেশ জোশী। তিনি বলেছেন, ‘তদন্তের ভয়ে বিজেপি বর্তমানে সিঁটিয়ে রয়েছে। এখানেও তারা ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করছে। ঠিক যেভাবে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকে বিজেপি করেছিল। এক চেষ্টা তারা রাজস্থানে করছে।’ কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিজেপি ব্যর্থ হবে বলে দাবি করেছেন মহেশ।
এরমধ্যে দক্ষিণ রাজস্থানের কুশলগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মোটা টাকা দিয়ে বিজেপি কিনে নিতে চাইছিল বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও ওই বিধায়ক প্রকাশ্যে এই অভিযোগের কথা স্বীকার করেননি। বহুদিন ধরেই রাজস্থানে রাজনীতিতে এই ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ উঠে আসছে যার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে বিধানসভার চিফ হুইপ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের বিধায়করা সরকারের সমর্থনে রয়েছেন এবং তারা বিজেপির এই পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না। সন্দেহের নজরে থাকা ২৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক এর তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন। তবে বিজেপি যে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চালিয়ে যাবে তা চোখ বন্ধ করে বলে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০০ বিধানসভা আসনের রাজস্থানে বর্তমানে ১০৭টি আসনে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষে সমর্থন রয়েছে আরও ১২ জন নির্দল বিধায়কের।