বিশ্বজোড়া করোনা পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ এবং মাস্ক এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকায়। যেহেতু এই মারণ ভাইরাস নিয়েই চলতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তাই ইতিমধ্যে মাস্ক মানুষের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই যেমন কর্ণাটকের এক স্বর্ণকার রুপোর মাস্ক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আবার কেরালার ফোটোগ্রাফার বাজারে এনেছেন ‘যেমন দেখতে, তেমন মাস্ক’। এবার সুরাটের একটি গয়নার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে হিরের মাস্ক। আমেরিকান ডায়মন্ড এবং এমনি হিরে, দু’রকম হিরে খোদাই করা মাস্কই পাওয়া যাচ্ছে সুরাটের ওই গয়নার দোকানে।
দোকানের মালিক দীপক চোকসি জানিয়েছেন, হিরের সঙ্গে থাকছে সোনার ব্যবহারও। তিনি জানান, সম্প্রতি তাঁদের দোকানে এসেছিলেন এক ক্রেতা। লকডাউন উঠে যাওয়ায় তাঁর বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তাই বর কনের জন্য একটু অন্য ধরনের মাস্ক বানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ওই ক্রেতা। গয়নার দোকানের মালিকের কথায়, ‘ওই ক্রেতার কথায় আমরা আমাদের ডিজাইনারকে বলি অন্য ধরনের মাস্ক বানিয়ে দিতে। তখনই হিরে দিকে মাস্ক বানানোর কথা মাথায় আসে। ওই ক্রেতারও এই মাস্ক পছন্দ হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দু’ধরণের হিরের মাস্ক রয়েছে সুরাটের এই দোকানে। আমেরিকান ডায়মন্ড খোদাই করা মাস্কের দাম দেড় লক্ষ টাকা। আর আসল হিরে খোদাই করা মাস্কের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা। নির্মাতারা জানিয়েছেন, মাস্কের কাপড়ের ক্ষেত্রে সরকারের গাইডলাইন মেনেই তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রয়োজনে ওই মাস্ক থেকে এসব হিরে খুলে নিয়ে পরে অন্য গয়নাও বানাতে পারবেন ক্রেতারা। দোকানের মালিক নিশ্চিত যে করোনা যাবে যাঁদের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে এই মাস্ক তাঁদের পছন্দ হতে বাধ্য। গয়নার পাশাপাশি হিরে খচিত মানানসই মাস্কও কিনবেন তাঁরা। তাই বেশ কিছু মাস্ক ইতিমধ্যেই তৈরি করানো হয়েছে।