শেষ অবধি রক্ষাকর্তা সেই সুয়ারেজই। কাতালুনিয়া ডার্বিতেও তাঁর গোলেই মুখরক্ষা হল বার্সেলোনার। আর এই ম্যাচ জিতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে এখনও অবধি খেতাবের দৌড়ে টিকে থাকল বার্সেলোনা। বুধবার রাতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু-তে এস্প্যানিয়লের বিরুদ্ধে সুয়ারেজের করা একমাত্র গোলেই ম্যাচ জিতল বার্সা। বর্তমানে ৩৪ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা টেবিলের শীর্ষ স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিওনেল মেসিরা। বার্সা সমর্থকেরা মনেপ্রাণে চাইছেন, শুক্রবার আলাভেসের বিরুদ্ধে জিনেদিন জিদানের দল যেন পয়েন্ট নষ্ট করে।
অবনমন বাঁচাতে মরিয়া এস্প্যানিয়লের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ন্যু-তে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। লা লিগায় খেতাবি দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হত মেসিদের। গোল না হওয়ায় উদ্বিগ্ন বার্সা ম্যানেজার কিকে সেতিয়েন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেলসন সেমেদোর পরিবর্তে মাঠে নামান আনসু ফাতিকে। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার বিস্ময় বালক। এস্প্যানিয়লের কালেরো দার্দেরকে ফাউল করার জন্য ফাতিকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। তার পরে ভিডিও অ্যাসিট্যান্ট রেফারি (ভার) প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান তিনি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বল দখলের লড়াইয়ের সময় ফাতি পা দিয়ে আঘাত করেছেন কালোরোর পায়ে। বার্সা শিবির রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। টিভিতে দেখা গিয়েছে, হাততালি দিয়ে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বার্সা ডিফেন্ডার পিকে।
এদিকে, দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে দশ জন হয়ে যাওয়ার পরে রক্তচাপ আরও বেড়ে যায় সেতিয়েনের। যদিও ৫৩ মিনিটে এস্প্যানিয়লের পোল লোসানো একই ভাবে পিকে-কে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। এক্ষেত্রেও ভার প্রযুক্তির সাহায্য নেন রেফারি। এ বার অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন পিকে। হাততালি দিতে দিতে রেফারিকে বলেন, ‘‘পরিষ্কার লাল কার্ড ছিল।’’ তিন মিনিটের মধ্যেই পিকের এই চমকপ্রদ পরিবর্তন নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবলবিশ্বে।
এস্প্যানিয়ল দশ জন হয়ে যাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে বার্সা শিবিরে স্বস্তি ফেরান সুয়ারেজ। আঁতোয়া গ্রিজম্যানের অসাধারণ ‘ব্যাক-হিল’ এস্প্যানিয়লের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ধরে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তা রক্ষণের প্রাচীরে প্রতিহত হয়ে বেরিয়ে আসে। এর পরেই ঠান্ডা মাথায় গোলে বল ঠেলে দেন সুয়ারেজ। সেই সঙ্গে বার্সার তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতাও হলেন। বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই মুহূর্তে মেসি (৬৩০)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রদ্রিগেস আলভারেস (২৩২)। বুধবার রাতে সুয়ারেজ করলেন তাঁর ১৯৫তম গোল।