বিগত ৪ মাস ধরে দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। আর এরমধ্যেই ফের কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি হল ভারতে। আর এবারও ঘটনাচক্রে নাম জড়াল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের। বর্তমানে দেউলিয়া হতে বসা দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডকে ৩,৬৮৮.৫৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে দাখিল নথিতে পিএনবি জানিয়েছে, এই ঋণ ঘিরে জালিয়াতির শিকার হয়েছে তারা। মুম্বইয়ের একটি লার্জ কর্পোরেট শাখায় এইচডিএফএল-এর একটি নন-পারফর্মিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতি হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে এই নিয়ে চতুর্থ বার কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এল।
উল্লেখ্য, নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্সকে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অনুসারে ইতিমধ্যে ১,২৪৬.৫৮ কোটি টাকার প্রোভিসন রাখা হয়েছে বলে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতের বিলিয়নিয়র হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর ১১,৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির ধাক্কা রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় দেশজুড়ে হইহই পড়ে যায় সেইসময়।
বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি ডিএইচএফএল-এর ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে ঋণদাতাদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ তারা। দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানে পৌঁছতে ডিএইচএফএল প্রোমোটারদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। এ ছাড়া তার লোন বুক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলি দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্সের অ্যাকাউন্ট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।