গত সোমবার ভোরে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। মাঝে গোটা ১ দিনেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পর অবশেষে মঙ্গলবার স্থানীয় এক স্কুলের ক্লাসরুমের ভেতর থেকে উদ্ধার হল আসামের এক স্কুল শিক্ষিকার মৃতদেহ। সেইসময় তাঁর ঝলসানো মুখ, অবিন্যস্ত পোশাক। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শিক্ষিকাকে খুনের আগে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয় অ্যাসিডে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে অসমের উদালগুড়িতে। পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালেও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ১ নম্বর কলাইগাঁওয়ের বাসিন্দা বছর ৫২-এর ওই শিক্ষিকা। কিন্তু বেলা গড়ালেও বাড়ি ফেরেননি। এরপর পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে উদালগুড়ির ইউএন ব্রহ্ম অ্যাকাডেমি স্কুল চত্বরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান সেখানে। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশ গিয়ে স্কুলের একটি ঘর থেকে সেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে। শনাক্ত হয় দেহটি নিখোঁজ শিক্ষিকারই। ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, ইউএন ব্রহ্ম অ্যাকাডেমি থেকে শিক্ষিকার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অনুমান, মৃতদেহের পরিচয় গোপন করতেই তাঁকে ধর্ষণ করার পর তাঁর মুখ অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ফের মুখ উড়েছে আসাম বিজেপি সরকারের।