আনলক ২-এ বাড়তে থাকা সংক্রমণ রুখতে ফের লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লকডাউনের কড়া নিয়ম লাগু হবে রাজ্যর কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে। ফের থমকে যাবে জনজীবন। এরজন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রের পরিকল্পনাহীন লকডাউনের কারণেই সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন ফের লকডাউন ছাড়া গতি নেই।’
করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্চের শেষ দিকে লকডাউন জারি হয়েছিল দেশে। মে মাস পর্যন্ত ঘরবন্দী ছিল দেশবাসী। তবে জুনের শুরু থেকে পালটাতে শুরু করে ছবি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয় প্রশাসন। দীর্ঘদিনের বন্দীদশা কাটিয়ে অফিসমুখী হন এরাজ্যের চাকরিজীবীরাও। কর্মস্থলে পৌঁছতে সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণে রাস্তায় নামে বাস-অটো-অ্যাপ ক্যাব। একাধিক রুটে শুরু হয় ভেসেল পরিষেবাও। কিন্তু জনজীবন স্বাভাবিক হতেই আশঙ্কা সত্যি করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন নোভেল করোনা ভাইরাসে। বাড়তে থাকে মৃত্যুও। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের তরফে ফের লকডাউন জারির প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নে। মঙ্গলবারই তাতে সিলমোহর দেয় নবান্ন। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ৯ জুলাই থেকে ফের স্তব্ধ হয়ে যাবে রাজ্য।
সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে একাংশ খুশি হলেও, অনেকেরই মুখ ভার। কারণ, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সদ্যই খুলেছিল অফিস-কাছারি। ব্যবসায়ীরাও আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু লকডাউন কড়া হলে আবারও আর্থিক সংকটের আশঙ্কাই করছেন তাঁরা। আর ফের লকডাউন, রাজ্যবাসীর ভোগান্তির জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও কেন্দ্র সচেতন ছিল না। মার্চে পরিকল্পনাহীনভাবে লকডাউন জারি হয়েছে। তার জেরে বেড়েছে সংক্রমণ, সমস্যা। এখন যা পরিস্থিতি তাতে লকডাউন জারি ছাড়া রাজ্যের হাতে আর কোনও রাস্তা নেই।’ এহেন মন্তব্যের পাশাপাশি এদিন রাজ্যবাসীকে লকডাউনের নিয়ম মানার পরামর্শও দেন মন্ত্রী।