এবার কুকুরের মাংসে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে ক্রমশই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে নাগাল্যান্ডে। ‘আদতে এটা বিজেপির ফ্যাসিবাদী মনোভাবেরই পরিচয়’, বলছেন নাগাল্যান্ডের কুকুরের মাংসপ্রেমীরা। তাঁদের সাফ কথা, বাপ-ঠাকুর্দা-চোদ্দোপুরুষ ধরে কুকুরের মাংস খেয়ে আসছেন। এখন কেউ তাঁদের এই মাংস খাওয়া বন্ধ করতে পারবে না।
নাগাদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, দেশে অন্য মাংসের বিক্রি চললেও শুধু কুকুরের মাংসের ওপর নিষেধ চাপানো আসলে পশুপ্রেমীদের ভণ্ডামি। সেই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাস তথা সংস্কৃতির বৈচিত্র ও স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন নাগা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযোগ তুলেছে। তবে রাজ্য সরকার কুকুর হত্যা, পাচার ও তার মাংস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল। ইতিমধ্যে কুকুর শিকারের অভিযোগে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে নাগাল্যান্ডে।
প্রসঙ্গত, মানেকা গান্ধী ও প্রীতীশ নন্দীর তৎপরতায় নাগাল্যান্ড সরকার কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রাজ্য মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের কথা টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব তেমজিং টয়। রাজ্য সরকারের গঠন করা হাই পাওয়ার কমিটির মুখপাত্র এম কিকন জানান, পশুপ্রেমীদের অনুরোধে কুকুর পাচার বা হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ করা হয়।
এদিকে নাগাল্যান্ডবাসীর অভিযোগ, বিজেপির কারণেই রাজ্য মন্ত্রীসভা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাগাল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সংগঠন নাগা হোহো-র প্রাক্তন উপদেষ্টা চুবা ওজুকম অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। তাঁর দাবি, কুকুর শিকার ও মাংস খাওয়া নাগাদের সংস্কৃতির অঙ্গ। নিষেধাজ্ঞা তাঁদের কৃষ্টির ওপরই আঘাত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, কুকুরে মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞায় রাগ বাড়ছে বিজেপির ওপর। কারণ, ৬০ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির ১৩ বিধায়কের সমর্থন নিয়েই টিকে আছে নেফু রিও-র এনডিপিপি (২০) দলের সরকার। ক্ষোভে ইন্ধন দিচ্ছে বিজেপির আগের সঙ্গী এনপিএফ (২৬)।