ম্যাঞ্চেস্টার সিটির দাপটে ম্লান হয়ে গেল লিভারপুলের জয়ের উৎসব। বৃহস্পতিবার রাতে স্টেডিয়ামের টানেল দিয়ে যখন বেরোচ্ছেন লিভারপুলের ফুটবলারেরা, দু’ধারে সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কেভিন দ্য ব্রুইন-ফিল ফডেনরা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পরে অন্য ছবি।
লিভারপুলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় যে ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার যন্ত্রণায় কিছুটা প্রলেপ দিয়েছে, তা গুয়ার্দিওলার প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি উচ্ছ্বসিত। চ্যাম্পিয়ন দলকে দুর্দান্ত খেলে হারানোর জন্য ফুটবলারদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’’
গুয়ার্দিওলার ‘সুন্দর ফুটবল’ রণনীতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। তা সত্ত্বেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু ১৯ মিনিটে সালাহর শট পোস্টে লাগে। মিনিট পাঁচেক পরে নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করেন লিভারপুলের জোসেফ গোমেজ।
শুরু থেকেই ম্যান সিটির আক্রমণের ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে লিভারপুল। ৫৬ মিনিটে সাদিয়ো মানেকে ফাউল করেন ম্যান সিটির কাইল ওয়াকার। লিভারপুলের ফুটবলারেরা পেনাল্টির দাবি জানালেও ভিডিয়ো অ্যাসিট্যান্ট রেফারি (ভার) প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ফ্রি-কিক দেন রেফারি।
লিভারপুলের এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ক্লপের ব্যাখ্যা, ‘‘মানসিক ভাবে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। আমাদের খেলায় সেই ছন্দটা ছিল না। খবরের শিরোনাম করার জন্য কেউ বলতেই পারেন যে, এই ম্যাচে লিভারপুলের কোনও লক্ষ্য ছিল না। আমি কিন্তু ফুটবলারদের মানসিকতায় সন্তুষ্ট। একটা দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে বলে ম্যান সিটি ভাল খেলতে পারে না, এটা ভাবা ঠিক নয়।’’