লকডাউনের জেরে এখনও ভারতে আটকে আইলিগ খেলা এক ঝাঁক বিদেশী। বাগানের স্প্যানিশ ব্রিগেড ও তাজিকিস্তানের কুমরোন তুরসুনভ মে মাসের মধ্যে বাড়ি ফিরলেও চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর সেনেগালের স্ট্রাইকার বাবা দিওয়ারা ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল সাইরাস এখনও কলকাতায়। মোহনবাগান কর্তারা কলকাতায় তাঁদের থাকা–খাওয়ার ভার নিয়েছেন। পাঞ্জাব এফ সি–র দুই ফুটবলার ক্যামেরুনের ডিপান্ডা ডিকা ও নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কিংসলের অবস্থাও এক।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে ১০ মার্চ আই লিগের ম্যাচে আইজলের মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান। তারপরই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দেশজুড়ে খেলাধুলো বন্ধের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। তবু ফেডারেশন সরকারিভাবে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আই লিগের ইতি টানতে অনেকটা সময় নিয়েছিল। তাতে অধিকাংশ ক্লাব তাদের কোচ ও ফুটবলারদের ছাড়তে পারেনি। তার জেরে এখনও ট্রাউ, চেন্নাই এফ সি ও ইস্টবেঙ্গল ছাড়া বাকি দলের অনেক বিদেশি ফুটবলার আটকে রয়েছেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে তাঁরা দেশে ফিরবেন।
রিয়েল কাশ্মীরের তিন ফুটবলার ক্রিজো, আর্মান্দ, লাভডে শ্রীনগরে টিম হোটেলে বন্দি, বাড়ি ফেরার বিমান না থাকায়। গোকুলাম এফ সির ৫ বিদেশি ফুটবলার উগান্ডার কিসেকা, রোয়ান্ডার কিপসন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর আতিয়েন, নাথানিয়েল, মার্কাস কলকাতায় থাকছিলেন এতদিন। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর শনিবার কিসেকা ও কিপসনের দেশের বিমান ধরার কথা।