হাজার চেষ্টা করে, হাজার বিধিনিষেধ মেনেও লাভ হয়নি। ইতিমধ্যেই সংশোধনাগারের চার কয়েদি কোভিড পজিটিভ। এমতাবস্থায় রাজ্যের সব সংশোধনাগারের সব আধিকারিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। রোজ নিয়ম করে সকালে ব্যায়াম বাধ্যতামূলক হল। সেই সঙ্গে হলুদ মেশানো দুধ পান।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণের বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার মিলিয়ে দু’মাসে চার আসামির শরীরে কোভিড জীবাণু মিলেছে। যদিও একজন সংক্রমিত হয়েছে হাসপাতালে থাকাকালীন। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধনাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে। নতুন কয়েদি এলে তাদের সেখানে রাখা হচ্ছে।
কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, ‘স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা এসে সমস্ত নিয়ম মেনে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করেছেন। সঙ্গে থাকছেন কারা দপ্তরের চিকিৎসক ও নার্সরা। দমদম, বারুইপুর, আলিপুর-সহ সাত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত। এবার জেলার জেলগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে।’
কারা দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘বেশ কিছু কয়েদির জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের ডাক্তারবাবুরা তাঁদের সোয়াব স্যাম্পেল নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ওদের রিপোর্ট নেগেটিভ।’ তবে উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ মিলেছে বারুইপুর ও দমদমে। রোগীদের জেলের মধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয়েছে। তাই এ নিয়ে অযথা উদ্বেগের কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ওই কর্তা।
উদ্বেগ হয়তো নেই। তা সত্ত্বেও করোনার আগ্রাসন রুখতে সতর্কতায় খামতি নেই। কারা আধিকারিকদের ব্যায়ামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রোজ সকালে কাজে যোগ দেওয়ার আগে নিয়ম করে শরীরচর্চা বাধ্যতামূলক। আর সকাল বা বিকেলে হলুদ-দুধ পান। তুলসী-চা খেতেও বলা হচ্ছে। ‘আয়ুর্বেদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোর পাওয়া যাবে।’ মন্তব্য মন্ত্রীর।