নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করার জন্য বাঘাযতীন উড়ালপুলের নির্মাণ সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্ট করে কড়া শাস্তি দিতে চলেছে রাজ্য। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কেএমডিএ আইনে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঘাযতীনে দুটি উড়ালপুল, একটি ১০ বছর এবং একটি ২০ বছর বয়স। দুটিরই অবস্থা ভীষণ খারাপ। অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ফ্লাইওভার দুটি তৈরি করা হয়েছিল। এমনকী জলও নিম্নমানের ছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার বাঘাযতীন, চিংড়িঘাটা ও কালীঘাট উড়ালপুলের পরিকাঠামো দূর্বল থাকায় জরুরি মেরামতি শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ। এছাড়া ‘স্বাস্থ্যপরীক্ষা’ করা শিয়ালদহ, বিজন সেতু, উল্টোডাঙা, অরবিন্দ সেতু-সহ অন্য পাঁচটি উড়ালপুলও সংস্কার করবে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই আটটি উড়ালপুলের মধ্যে বাঘাযতীনে রেললাইনের উপরে ২০০০ ও ২০১০ সালে তৈরি দু’টি পৃথক ব্রিজের নির্মাণেই বড়মাপের গলদ রয়েছে। বস্তুত সেই কারণে রেললাইনের উপরের ব্যস্ততম উড়ালপুল না ভেঙে একাধিক নতুন পিলার দিয়ে কার্যত নতুন চেহারা দেওয়া হবে বলে আগামী মাস থেকেই পর্যায়ক্রমে ব্রিজগুলির মেরামতির কাজ শুরু হবে যাবে।
উল্লেখ্য, মাঝেরহাট ব্রিজ ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ার পরই কলকাতার পুরোনো সমস্ত উড়ালপুলের ‘স্বাস্থ্যপরীক্ষা’র জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে নগরোন্নয়ন দপ্তর। এর মধ্যে আটটি উড়ালপুল শহরের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও যানবাহনের ভার সামাল দিতে দ্রুত মেরামতি জরুরি বলেই কেএমডিএ-এর চেয়ারম্যানকে রিপোর্ট দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। উড়ালপুলগুলি হল- শিয়ালদহ, উল্টোডাঙা, বিজন সেতু, অরবিন্দ সেতু, কালীঘাট ব্রিজ, বাঘাযতীন ব্রিজ, টালিগঞ্জ ব্রিজ ও চিংড়িঘাটা উড়ালপুল।