চীন-ভারতের বৈরতা দীর্ঘদিনের। এর মধ্যেও গত কয়েক বছর ধরে ভারতের একাধিক সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করে চলেছে একাধিক চীনা সংস্থা। কখনও স্রেফ অর্থ বিনিয়োগ করছে, তো কখনও আবার ভারতে কারখানাই খুলে বসছেন তাঁরা। এর পিছনে আসল রহস্যটা কী? কেন ভারতে বিনিয়োগ করতে এত পছন্দ করে চীনা সংস্থাগুলি? এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তো? ভারত-চীন স্নায়ুযুদ্ধে আবহে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে তদন্তের দাবি জানাল বণিক সংগঠন সিএআইটি।
তথ্য বলছে, সম্প্রতি ভারতে একাধিক স্টার্টআপ সংস্থা তৈরি হয়েছে। আর বিনিয়োগের জন্য সেগুলিকেই পাখির চোখ করেছে চীনের ব্যবসায়ীরা। ওলা, ফ্লিপকার্ট, পেটিএম, সুইগি, ওয়ো, জোমাটো, পলিসি বাজারের মতো বহু সংস্থায় বিপুল পরিমাণ চীনা লগ্নি রয়েছে। কিন্তু কেন ভারতের বাজার ধরতে চাইছে চীনা সংস্থাগুলি? কেনই বা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে ভারতের বাজারে? এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে সিএআইটি।
এমনকী, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আলিবাবা, টেনসেন্ট এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি চীনা সংস্থা ভারতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। এই পিছনে অন্য কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।’ প্রসঙ্গত, এই ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে দেশের প্রায় সাত কোটি ব্যবসায়ী তথা ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সংগঠন যুক্ত রয়েছে।
সিএআইটি-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল কথায়, ‘যে সব চীনা সংস্থা ভারতের মাটিতে কারখানা তৈরি করেছে তাদের বিষয়েও তদন্ত দরকার। তারা কারখানা চালানোর নামে দেশের গোপন তথ্য চীনে পাচার করছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার।’ তাঁর কথায়, সবার আগে দেশের নিরাপত্তা।
প্রসঙ্গত, সোমবারই নিরাপত্তা ও সার্ভভৌমত্বের খাতিয়ে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী, একাধিক চীনা সংস্থার বরাত বাতিল হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই তদন্ত শুরু হলে চীন যে বড়সড় আর্থিক ধাক্কা খাবে, তা বলাই বাহুল্য।