লাদাখ সীমান্তে ভারত যখন চীনকে সামলাতে ব্যস্ত, তখন নিজেদের সীমান্তেও সেনা বাড়িয়ে ভারতীয় সেনার ওপর চাপ আরও বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে দিল লাকিস্তান৷ মনে করা হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের ছক চীনেরই। ভারতকে বেকায়দায় ফেলতেই পাকিস্তানের সাহায্য চাইছে ড্রাগন। সূত্রের খবর, বন্ধুর আবেদনে সাড়া দিয়েই লাদাখে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, এরইমধ্যে কাশ্মীর এবং লাদাখে ঢুকে ভারতে ‘অন্তর্ঘাত’ সৃষ্টির ছক কষছে প্রায় শ’খানেক প্রশিক্ষিত পাক জঙ্গী।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে উত্তর লাদাখের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছে ২০ হাজার পাকিস্তানি সেনা। প্রয়োজনে ওই এলাকায় আরও বাহিনী পাঠাতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তান ও চীন সুযোগ পেলেই লাদাখের দুই প্রান্ত থেকে সাঁড়াশি আক্রমনের পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা সেনার সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক সেরে ফেলেছেন। সেনাকে সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়। আকাশপথেও ভারতে সাঁড়াশি আক্রমণের রাস্তা আগেই তৈরি করে রেখেছে পাকিস্তান ও চীন।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’-এর বা চীনা বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, কান্দানওয়ারি, রহিম যার খান ও সুককুর বিমানঘাঁটিতে মজুত রয়েছে লালফৌজের কয়েকশো জওয়ান। পাক বিমানঘাঁটিগুলিতে চীনের প্রায় ২০টি জেএফ-১৭, জে-২০-সহ অন্য বিমান রয়েছে। এদিকে, লাদাখ সীমান্তে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও সক্রিয়। অন্তত ১০০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গীকে তাঁরা কাশ্মীরে ঢুকিয়ে দিয়ে ‘অন্তর্ঘাত’ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।