করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে আসছে। অ্যাকটিভ বা সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তুলনায় কমেছে। মৃত্যুহারও কম। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তাঁর কথায়, দিল্লীর অন্তত ২০টি জায়গায় প্লাজমা থেরাপি করা হচ্ছে। দেশের প্রথম প্লাজমা ব্যাঙ্ক চালু হচ্ছে দক্ষিণ দিল্লীর ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসে (আইএলবিএস)। করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের রক্তরস বা প্লাজমা জমা করে রাখা হবে সেখানে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সেই প্লাজমা ব্যবহার করা হবে। করোনা টেস্টিং ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকায় সুস্থতার হারও বাড়ছে দিল্লীতে। রাজধানীতে এখন করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩৪৮। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোটা দেশে যেখানে করোনায় সুস্থতার হার ৫৯%, সেখানে দিল্লীতে সুস্থতার হার ৬০% থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬%।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ২১৯৯, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় কম। গত সপ্তাহে দিল্লীতে করোনা সংক্রমণ যেভাবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে দিক থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও কমেছে। দৈনিক গড় বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেই সঙ্গে কমেছে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জুনের শেষে রাজধানীতে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এখন সেখানে অ্যাকটিভ কেস ২৬ হাজারের কাছাকাছি।
করোনা টেস্টের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মতে, দিনে গড়ে ২০ হাজারের বেশি কোভিড টেস্ট হচ্ছে দিল্লীতে। গত সপ্তাহে দিনে গড়ে ১৬ হাজার কোভিড টেস্টিং হচ্ছিল, এ সপ্তাহ থেকে সেটাই বেড়ে ২১ হাজারে পৌঁছেছে। করোনা রোগী ও তাঁদের সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দিল্লীতে এখনও অবধি কনটেইনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা ২৮০। নতুন করে কনটেইনমেন্ট জ়োন বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।