ক্রমেই বেড়ে চলেছে চীনা আগ্রাসন। তাতেই মুখ ভার হচ্ছে আমেরিকার। ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষকেও মোটেই ভালো চোখে দেখছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেরি না করে এইবেলাই এশিয়ার দেশগুলিতে মার্কিন সেনাকে প্রস্তুত করে রাখতে চায় আমেরিকা। ফলে ইউরোপের দেশগুলি থেকে কমছে মার্কিন সেনার সংখ্যা।
সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে বৈঠক চলছে দফায় দফায়। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরা। ১৫ জুনের পর থেকেই ইন্দো-চীন দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমেই সমঝোতার প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও বাস্তবে তার কোনও ইঙ্গিতই মিলছে না। নিজের অবস্থানে অনড় থাকছে চীন। অপরদিকে চীনের এই আগ্রাসী মনোভাবকে মোটেই মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা।
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসের এক ভিডিও বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানান, ‘ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশিয় দেশগুলির উপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চীন তা যথেষ্টই উদ্বেগের।’ তবে প্রশ্ন ছিল ইউরোপ থেকে কেন মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা? সেই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন,’বর্তমানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও করেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তাঁর কথায়, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সও চীনের হুমকির মুখে। বর্তমানের পরিস্থিতিকে সামাল দিতে মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।’ মার্কিন বিদেশ সচিব যে শুধুমাত্র ইন্দো-চীন সীমান্ত সংঘাতে ক্ষুব্ধ তা নয়, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তত্পরতা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
এদিন মার্কিন বিদেশ সচিবের কথায় চীনের ফৌজকে মোকাবিলা করার স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়। গত সপ্তাহেও মাইক পম্পে চীনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধি ও কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চীনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি।