বর্তমানে বিসিসিআই বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট সংস্থা। তবে সেটা একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স এবং প্রশাসকদের প্রশাসনিক দক্ষতা ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থাকে সিংহাসনে বসিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন বিশ্ব জয় করে ফেরা ক্রিকেটারদের হাতে পারিশ্রমিক তুলে দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না বিসিসিআইয়ের কাছে। ঠিক সেইসময় বিসিসিআইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকর।মহান গায়িকার সেই ঋণ আজীবন ধরে শোধ করার অঙ্গীকার করেছিল বিসিসিআই।
লতা মঙ্গেশকরের সেই সাহায্যের কথা এখনও ভোলেনি বিসিসিআই। আর তাই দেশের যে কোনও স্টেডিয়ামে ভারতীয় দলের ম্যাচ হলে এখনো একটি সিট লতা মঙ্গেশকর এর জন্য বরাদ্দ থাকে।
বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর প্রতিটি ক্রিকেটারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় বোর্ড। এর পর দলের বিশেষ কোনও ক্রিকেটারের দাবিতে বিসিসিআই প্রতিটি ক্রিকেটারকে এক লাখ টাকা করে দেবে বলে ঘোষণা করে দেয়। এদিকে এত টাকা একসঙ্গে দেওয়ার ক্ষমতা সেই সময় ছিল না বিসিসিআইয়ের।
তৎকালীন বোর্ড কর্তা রাজসিং দুঙ্গারপুর সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকরকে। কিংবদন্তি শিল্পী এরপর একটি কনসার্টের আয়োজন করেন। সেই কনসার্ট থেকে উপার্জিত কয়েক লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের। বাকি টাকা তৎকালীন স্টেডিয়াম ফিরোজ শাহ কোটলার উন্নয়নের জন্য খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।