চলতি সপ্তাহের শুরুতে মঙ্গলবারই যোগ গুরু বাবা রামদেব দাবি করেছিলেন তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি করোনাভাইরাস সারানোর ১০০ শতাংশ কার্যকরী ওষুধ তৈরি করে ফেলেছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড সরকারের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে জানিয়েছিলেন, ড্রাই লাইসেন্সের আবেদন করার সময়ে সংস্থার তরফে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি এই ওষুধ করোনা চিকিত্সার জন্যে তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢালল উত্তরাখণ্ডের আয়ুষ মন্ত্রক।
উত্তরাখণ্ডের স্টেট মেডিসিনাল লাইসেন্সিং অথরিটির যুগ্ম ডিরেক্টর ডা. ওয়াই এস রাওয়াত জানিয়েছেন, ‘দিব্য ফার্মেসি যখন লাইসেন্সের জন্যে আবেদন করে তখন কোথাও উল্লেখ করা ছিল না যে এই ওষুধ তারা করোনা চিকিৎসার জন্যে ব্যবহার করবে আগামী দিনে। তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ইমিউনিটি বাড়ানো এবং জ্বরের ওষুধের জন্যে। কিন্তু এখন আয়ুষ মন্ত্রকের নজরে যখন এই বিষয়টি আনা হয়েছে, তখন এর তদন্ত করা হবে। নোটিশ জারি করা হবে দিব্য ফার্মেসিকে। যদি তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হয়, তাহলে বর্তমানে যত লাইসেন্স রয়েছে তা বাতিল করে দেওয়া হবে।’
মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের থেকে ওষুধের নাম ও নির্দিষ্ট কম্পোজিশন চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে এই ওষুধের উপর গবেষণা কোথায় করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যও। চেয়ে পাঠানো হয়েছে প্রোটোকল, স্যাম্পেল সাইজ, ইনস্টিটিউশনাল এথিকস কমিটি ক্লিয়ারেন্স, সিটিআরআই রেজিস্ট্রেশন এবং গবেষণার যাবতীয় তথ্য।
এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাবা রামদেবকে। জানিয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রে এমন ভুয়ো ওষুধ বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ট্যুইটে নিজের বক্তব্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি আরও জানান জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকাল সায়েন্স খতিয়ে দেখবে আদৌ পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ‘করোনিল’ ওষুধটির কখনও কোনও ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছিল কি না। অনিল দেশমুখ এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।