গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। আহত হন আরও ৭৬ জন। সেদিনের সংঘর্ষের পর থেকেই গোটা দেশ চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। দেশজুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ যুদ্ধ রবও উঠছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মোদী সরকার আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পক্ষে। তাই বেজিংয়ের সঙ্গে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। তা ফলপ্রসূ না হলে দিল্লীর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? তা নির্ভর করছে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের রিপোর্টের উপর। লাদাখের পরিস্থিতি দেখে ফিরে আসার পর, দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন নরবণে। পাশাপাশি চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা করতে চলেছেন সেনাপ্রধান।
গত দু’দিনে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় এবং চীনা সেনা মুখোমুখি রয়েছে, এমন চারটি জায়গা ঘুরে দেখেন নরবণে। নোবরা-সহ সীমান্তের কিছু ফরোয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও ইন্দো টিবেট বর্ডার পুলিশের সাহায্যে এলএসি-র ৬৫টি স্থানে পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন সেনাপ্রধান। পূর্ব লাদাখের সেই পরিস্থিতি চাক্ষুষ করার পর, সেই ছবিই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরতে চলেছেন সেনাপ্রধান। এলএসি-তে চীনা সেনার অবস্থান কোথায়, তা জানাবেন তিনি। এই মুহূর্তে অবশ্য রাশিয়া সফরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সে ক্ষেত্রে লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও নিজের মূল্যায়ন জানাতে পারেন সেনাপ্রধান। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেও পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন নরবণে। সেইসঙ্গে বিমান এবং নৌ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করবেন।