রাজ্যের অন্যান্য জেলায় একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় কোন বড় নার্সিংহোম বা করোনা হাসপাতাল তৈরি করার মতো পরিকাঠামো ছিল না এতদিন। এবার সেই ব্যবস্থাও করে ফেলল মমতা সরকার। ঝাড়গ্রামের করোনা আক্রান্তদের জন্য জেলাতেই তৈরি হচ্ছে ৭৫ শয্যার হাসপাতাল।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে ঝাড়গ্রাম এখনও অনেকটাই নিরাপদ জায়গায়। এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। আক্রান্তের সংখ্যাও অন্য জেলার তুলনায় কম। তবুও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন করোনা হাসপাতাল চালু করতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
এতদিন এই জেলায় কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে ঝাড়গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে পাঠানো হত। করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের পশ্চিম মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে পাঠানো হত। সেখানে লালারস পরীক্ষার পর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের পাঠানো হতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বড়মা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা হত তাঁদের।এখন ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে যে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল তা ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরের নাইট শেল্টারের বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরেই তৈরি হবে এই নতুন করোনা হাসপাতাল। ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য চারাতলা নতুন নাইট শেল্টারের বিল্ডিং তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখানে আপাতত এখন করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই নবনির্মিত নাইট শেল্টারের বিল্ডিংয়েই ৭৫ শয্যার করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এই বিল্ডিংয়ে কোনও লিফট নেই। তাই ভবনের একতলা এবং দোতলাতেই করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।