দেশে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে দিল্লী ও মুম্বইতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই দুই শহরে বায়ুদূষণ মারাত্মক বেশি। এর ফলেই হয়তো সেখানে অতিমহামারীর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে দুই শহরের মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
দিল্লী ও মুম্বইয়ের মানুষ দীর্ঘকাল যাবৎ দূষিত বাতাসে শ্বাস নিয়েছেন। ফলে তাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা রীতিমতো কমে গিয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে পার্টিকুলেট ম্যাটার, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও সালফার ডাই অক্সাইডের সংস্পর্শে আসে তবে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
দিল্লীর ম্যাক্স হসপিটালের ইন্টারন্যাল মেডিসিন দফতরের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর রমেল টিকো বলেন, “দিল্লী ও মুম্বইতে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অবশ্যই বায়ুদূষণের সম্পর্ক আছে।” বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির দুই তৃতীয়াংশই অবস্থিত ভারতে। রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যনগরী মুম্বই বিশ্বের দূষিততম শহরগুলির অন্যতম।
শুধু তাই নয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট, হেলথ অ্যান্ড গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টের ডিরেক্টর অ্যারন বার্নস্টাইন বলেন, “যাঁরা দূষিত এলাকায় থাকেন, তাঁদের করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”