করোনা পরিস্থিতির জেরে বিগত ৩ মাস ধরে জারি রয়েছে লকডাউন। যার প্রভাব পড়েছে অৰ্থনীতিতে। সেই আর্থিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতেই আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে পাশে নিয়ে চলার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। আর সেখানেই সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে উম্পুন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির তরফে দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের তরফে সুজন চক্রবর্তী-সহ প্রতিটি দলের নেতারাই।
এদিন নবান্নে প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই সর্বদল বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উম্পুন পরবর্তী পরিস্থিতির বিষয়ে শাসক দল ও বিরোধীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিই রিপোর্ট দেবে।’ করোনা ও উম্পুনে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হচ্ছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গও ওঠে এদিনের সর্বদল বৈঠকেও।
সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ক্ষতিপূরণ পাওয়ার থেকে কেউ বঞ্চিত হলে আবেদন করুন। ত্রাণ নিয়ে বাংলায় দলবাজির কোনো জায়গা নেই। আমার কাছে ২,১০০ অভিযোগ এসেছে। আমি সেগুলো দেখছি। আমি নিজে আমার দলের চার জনকে দল থেকে তাড়িয়েছি। জেলাশাসক, বিডিওদের বলছি আপনাদের এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। সব কিছু দেখে জেনুইন কেস দেখে তালিকা তৈরি করুন। কোনো ক্ষতিপূরণ থেকে যেন কেউ বাদ না যায়। সাধারণ মানুষদের অনুরোধ, শুধু বিডিও অফিস ভাঙচুর করবেন না।’
তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে গরিব কল্যাণ যোজনা নিয়েও কথা হয়েছে। সুন্দরবনের বিষয়ে কথা হয়েছে। নীতি আয়োগকে চিঠি লেখা হবে, যাতে টিম পাঠিয়ে একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেন। স্থায়ী সমাধানের জন্যে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘করোনা যাতে ছড়িয়ে না পরে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড রুগীদের বিষয়ে আরও বেশি করে আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের স্বার্থে সবাই যাতে একজোট হয়ে কাজ করতে পারি, সেটা দেখতে হবে।’