গালওয়ান উপত্যকায় অধিকার কায়েম করতে উঠে-পড়ে লেগেছে চীন। অনেক দিন ধরে এ নিয়ে সমস্যা থাকলেও, এবার তারা হিংসার পথে নেমেছে সরাসরি। চীনের এই আগ্রাসী মনোভাব নজর কেড়ছে সারা বিশ্বেরই। এ নিয়ে আলাদা করে এবার ভারতকে সতর্ক করল তিব্বত।
একটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে বলেন, ‘চীনের কার্যকলাপ আদতে ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি’ মেনে চলে। চীনা মাস্টারপ্ল্যানের কেবল একটি পর্ব হল লাদাখ। গোটা হাত দখল করতে নেমেছে চীন, লাদাখ তার একটি আঙুল মাত্র। চীনের স্ট্র্যাটেজি আসলে আরও অনেক বেশি বিধ্বংসী।’
কী এই ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি’? লোবসাং সাঙ্গের ব্যাখ্যা, চীন যখন তিব্বত দখল করেছিল তখন নেতা মাও সে তুং এবং সমসাময়িক অন্য নেতারা বলেছিলেন, তিব্বত হল হাতের তালু। যা দখল করতেই হত চিনকে৷ এর পরে হাতের বাকি পাঁচটা আঙুল দখল করে অধিকারের পরিসীমা বাড়াতে হবে৷ এই পাঁচ আঙুলের প্রথম আঙুলটি হল লাদাখ৷ বাকি চারটি আঙুল হল নেপাল, ভুটান, সিকিম ও অরুণাচলপ্রদেশ৷ এবার প্রথম আঙুল অর্থাৎ লাদাখের দিকে চীন ঝাঁপিয়ে পড়েছে সর্বশক্তি নিয়ে।
লোবসাং মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৭ সালের ডোকলাম সংঘর্ষ লাদাখের সেই ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজিরই অংশ। এই নিয়ে তিব্বতের নেতারা ভারতকে গত ৬০ বছর ধরেই সতর্ক করে আসছেন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, একই চাপ রয়েছে নেপাল, ভুটান ও অরুণাচলের উপরেও। চিন সুযোগের অপেক্ষায় আছে মাত্র। তিনি আরও বলেন, তিব্বতের সঙ্গে যা হয়েছে তা দেখে যেন শিক্ষা নেয় ভারত।