জার্মানি, স্পেন, ইটালির পরে এ বার ইংল্যান্ড। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ফুটবল ফিরল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। আর্সেনালকে ৩-০ উড়িয়ে দেওয়ায় ম্যান সিটি নিশ্চিত করে দিল, এভার্টনকে হারালেও রবিবারেই খেতাব জেতা হচ্ছে না লিভারপুলের। তিরিশ বছর পরে স্বর্ণালী সন্ধ্যা ফিরিয়ে আনতে অপেক্ষা করতে হবে ক্লপের দলকে।
ম্যাচ শুরুর আগে হাঁটু মুড়ে বসে দু’দলের ফুটবলারেরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন। এমনকি, রেফারিকেও যোগ দিতে দেখা গেল। জার্সির সামনে করোনা-যুদ্ধে সামিল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। পিঠে ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে গর্জে ওঠা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া ‘ব্ল্যাক লাইভ্স ম্যাটার’ প্রচারকে সমর্থন। গুয়ার্দিওলা ম্যাচের পরে এমন কথাও বলে গেলেন যে, ‘‘কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে আমাদের সকলের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ লকডাউনে কণ্ঠ তৈরি হয়েছে ইপিএলের। একতার কণ্ঠ। প্রতিবাদের কণ্ঠ।
কিছু কিছু জিনিস পাল্টানোর নয়! যেমন পেপ গুয়ার্দিওলার সুন্দর ফুটবল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ইঞ্জিন হিসেবে কেভিন দ্য ব্রুইনের ‘টোটাল ফুটবলের’ মুখ হয়ে ওঠা। আর্সেনালের দুর্ভোগ চলতে থাকা। এবং, দাভিদ লুইজের সমস্ত কিছু গুলিয়ে ফেলার অভ্যেস। ৪৯তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে বাইরে গেলেন ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার, সঙ্গে ম্যান সিটিকে পেনাল্টি উপহার।
এতিহাদের বাইরে দুই ভক্তকে দেখা গিয়েছিল বুধবার রাতে। ম্যান সিটির আকাশি নীল জার্সি পরা। গেটের সামনের স্টলে ‘ফিশ অ্যান্ড চিপ্স’ খাচ্ছেন। প্রায় ২০ মাইল দূরের ওয়ারিংটন থেকে এসেছেন। তাঁরাও জানেন, মাঠে প্রবেশ নিষেধ। তা বলে প্রাক-ম্যাচ সংস্কার পালনের উপরে করোনাকে তো থাবা বসাতে দেওয়া যায় না! এত দিনের অভ্যেস মেনে পয়মন্ত স্টলে খেয়ে আবার গাড়ি করে ওয়ারিংটন ফিরে গিয়ে টিভির সামনে বসেছেন তাঁরা।