করোনা চিকিৎসায় রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এগিয়ে আসার জন্য প্রথমেই আবেদন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত চিকিৎসাও চলছিল সেখানে। কিন্তু সম্প্রতি এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ তুলছিল রোগীর পরিবার। তা হল এক, অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং দুই, অনেক হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই নিয়ে সরকারের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমছিল।
আর তারপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের ডেকে সরকারের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রোগীর পরিবারের উপর বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপানো যাবে না। একইসঙ্গে মুখ্যসচিব বললেন, কত কোভিড বেড ফাঁকা আছে তা বেসরকারি হাসপাতালকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হবে এবং হাসপাতালের বাইরে ডিসপ্লে করতে হবে। যাতে রোগীর পরিবার বুঝতে পারে।
এদিন ২৫টি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন নবান্ন সভাঘরে। বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই তিনি বলেন, ওঁদের সবাইকে বলা হয়েছে বাড়তি বিল না চাপাতে। সমস্যা সবার রয়েছে। এই সময়ে মানবিক হতে হবে। প্রতিটি রোগীর থেকে চিকিৎসকদের পিপিই বাবদ রোজ টাকা ধার্য করা হবে, এটা হতে পারে না।
বলে রাখা ভাল, কোভিড চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে ব্যবহার করছে। সেখানে যাঁদের চিকিৎসা চলছে সেই খরচ সরকারই বহন করছে। তা বাদ দিয়ে যে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে এদিন তাঁদের প্রতিনিধিদেরই ডাকা হয়েছিল। এছাড়াও আজ মুখ্যসচিব জানান, বেড থাকলে কোনও ভাবেই রোগীদের ফেরানো যাবে না। মুখ্যসচিব বলেন, আমরা হাসপাতালগুলিকে বলেছি। ওঁরা বলেছেন রোগী ফেরাবেন না। সেইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশে রাজ্য সরকার স্পষ্ট বলেছে, কোনও কর্মীর মাইনে কাটা যাবে না।