করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে শরীরে। অথচ কোনও উপসর্গ নেই। এমন রোগীদের এখন থেকে আর করোনা হাসপাতালে রাখা হবে না। বদলে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট হল সেফ হোম নামে এক নতুন ধরনের হাসপাতাল। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায় এই খবর জানান।
স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, সেফ হোম হাসপাতাল আসলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি থেকে বাছাই করা কিছু সেন্টার। পরিযায়ী শ্রমিক আসা কমে যাওয়ায় এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে ক্রমেই আবাসিকদের সংখ্যা কমছে। এবার থেকে এখানেই সেফ হোম বানিয়ে রাখা হবে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর? উত্তরে ডাক্তার সুশান্ত রায় বলেন, ‘এখানে করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন। এঁদের হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার তেমন কিছু দরকার হচ্ছে না। কিন্তু যদি একজনও উপসর্গ যুক্ত রোগী এসে হাসপাতালে ভর্তি হন, তবে কিন্তু উপসর্গহীন রোগীদের মধ্যেই রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই আমরা সরকারকে জানিয়েছিলাম উপসর্গহীন করোনা রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করা হোক। সবুজ সংকেত আসায় এখন ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে মালদহ জেলাই তাঁদের এই পথ দেখিয়েছে। এখন এই মডেল অনুসরণ করেই উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে এই সেফ হোম হাসপাতাল চালু হবে। এরজন্য জলপাইগুড়ি জেলাতে ইতিমধ্যে তিনটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারকে বাছা হয়েছে। রাজগঞ্জ ব্লকের লায়ন্স কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, মেটেলি যুব আবাস এবং জলপাইগুড়ি রানিনগর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আপাতত চালু হবে এমন হাসপাতাল।