অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণ এখনো অনেকেরই মানতে অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু ঠিক কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তিনি কেন এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ এই হাই প্রোফাইল মামলায় খুব খতিয়ে তদন্ত করতে নেমেছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ৬ জনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছেন ৷
পুলিশ যাঁদের জেরা করেছে তার মধ্যে রয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের বোন, ওনার দুই ম্যানেজার, একজন কুক, ওঁর বন্ধু ও অভিনেতা মহেশ শেট্টি ও চাবিওয়ালা। মহেশ শেট্টিকে এই জন্যে জেরা করা হয়েছে কারণ তাঁকেই শেষ ফোন করেছিলেন সুশান্ত।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পরে বলিউডে হুলস্থুল পরে গেছে ৷ বহু সেলিব্রিটি প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন পুরনো সেলিব্রিটিদের গ্রুপ নতুনদের কীভাবে বলিউডে প্রবেশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, “সুশান্ত সিং রাজপুতের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা গেছে তাঁর শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। তবে সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সামনে এসেছে জানা যাচ্ছে ফিল্ম ইন্ড্রাস্টির বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দিতার জেরে হয়ত আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছিলেন সুশান্ত”।
প্রসঙ্গত, পরিচালক শেখর কাপুর জানিয়েছেন কেমন ভাবে সুশান্ত তাঁর কাছে এসে কান্নাকাটি করেছিলেন। তিনি বলেছেন সুশান্ত জানিয়েছে ঠিক কীভাবে বলিউড তাঁকে নিরাশ করেছে। অন্যদিকে কঙ্গনা রানাওয়াত জানিয়েছেন এটা আত্মহত্যা নয়, এটা খুন।