করোনা সংক্রমণ পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চল পুনর্গঠন করতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বঙ্গের আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এমনটাই জানিয়েছে।
সিআইআই আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, নতুন ছন্দে তাঁর দফতর শহরকে পুনর্গঠন করতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। তিনি বলেন, ‘দ্রুতহারে সবকিছু বদলাচ্ছে। শহর, কাজ, বাড়ি, বাণিজ্য আর সামাজিক অবস্থা।’ এপ্রসঙ্গে তিনি শহরের দু’টি হজ হাউসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। প্রসঙ্গ টেনেছেন কলকাতা বিমানবন্দরের। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের একটি আন্তর্জাতিক কোয়ারান্টাইন সেন্টার আর আইসোলেশন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তাঁর মতে, ‘শপিং মলগুলো ই-কমার্সের ওয়্যার হাউস হবে। কারণ হোম ডেলিভারি বেশি পছন্দ করবেন নাগরিকরা। তথ্য আদান প্রদান কেন্দ্রে পরিণত হবে সিনেমা হল আর মাল্টিপ্লেক্স।’ তাঁর দাবি, ‘আবাসনের বর্গফুট বাড়বে। কারণ বাড়ি থেকে কাজের পরিসর বাড়বে।’
দেশে যেভাবে দিনে দিনে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ক্রমশই কপালে ভাঁজ পড়ছে কেন্দ্রের। একই ভাবে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারগুলোও। এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক অসুখ থেকে বাঁচার জন্যে সবচেয়ে জরুরি যা তা হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু যে দেশে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্যে গণ পরিবহণই অন্যতম বড় ভরসা, সেখানে এই সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচার উপায় কী?
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রক মনে করছে, দেশের মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়ানো উচিত সাইকেল নির্ভরতা। দুই চাকার এই যানে একদিকে যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে, তেমন তা প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষও নয়। তাই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য সরকারগুলোকে সাইকেল ব্যবহারের জন্যে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।