ঘূর্ণিঝড় উম্পুন বদলে দিয়েছে সুন্দরবনের চালচিত্র। তছনছ করে দিয়েছে গোটা এলাকা। সেই দিন থেকেই বস্টন থেকে বঙ্গের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রেখে চলেছেন নোবেলজয়ী অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত।
অভিজিত্ জানিয়েছেন, ‘আমি ভিডিয়ো দেখেছি, কয়েকটি এলাকা পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে যে কী ভাবে দুর্গতদের জন্য খাদ্য-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু তারপর তাঁরা কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন, সে বিষয়ে তাঁদের সাহায্য করতে হবে।’ নোবেলজয়ীর কথায়, ‘তাঁদের গোয়াল, আম গাছ হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে, আর সেগুলো ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বন্ধনের টিএইচপি-র মতো প্রকল্পের দ্বারা দুর্গতদের সাহায্য করার কথাও ভাবতে হবে।’
তবে এতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না তাঁর সাহায্যের প্রচেষ্টা। নোবেলজয়ীর হাত ধরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল। সুন্দরবনে হাজার হাজার দুর্গত ঘরছাড়াদের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে তারা। লিভার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অভিজিত্ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সন্ধে সাতটা নাগাদ অভিজিত্-এর থেকে একটা ফোন পাই। সুন্দরবনে কী হচ্ছে, সেটা জানি কি না সেটা ও আমায় জিজ্ঞেস করে। সুন্দরবনের মানুষদের কথা শুনে ও ভেঙে পড়েছিল।’
লকডাউনে গরিব ও পরিযায়ীদের জন্য আগে থেকেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া, বীরভূমে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছিল লিভার ফাউন্ডেশন। উম্পুনের পর তারা সুন্দরবন এলাকার নারায়ণপুর, জিপ্লট, কুলতলিতে কমিউনিটি কিচেন শুরু করেছে। আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে আইএমএ হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, গোসবা ও পাথরপ্রতিমায় ত্রাণশিবির চালাচ্ছে।’