গোটা বিশ্বের পাশাপাশি, ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একের পর এক দেশকে টপকে বিশ্বে আক্রান্তের নিরিখে ভারত বর্তমানে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। যদিও করোনার বাড়বাড়ন্তে প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি তথ্য। যা বলছে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর তুলনায় মৃত্যুহার যথেষ্ট কম ভারতে। আর সেই তথ্যকে সামনে এনেই শনিবার এইমস-এর ডিরেক্টর ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানালেন, ভারতীয়দের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাকিদের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। যার ফলে দেশের ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল।
দেশজুড়ে করোনার ব্যাপক বাড়বাড়ন্তর দিকে নজর রেখে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। সেখানেই দেশবাসীকে খানিক আশার কথা শোনালেন গুলেরিয়া। গতকাল তিনি জানান, ‘দেশে মৃত্যুর হার বাকিদের তুলনায় যথেষ্ট কম। তার অন্যতম কারণ ভারতীয়দের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রবল। কেন এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের বেশিরভাগ নাগরিকের বিসিজি টিকা নেওয়া রয়েছে। যে টিকা যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগের প্রতিষেধক। তার কথায়, দেশে খুব কম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর বা ইনসেন্টিভ কেয়ারের প্রয়োজন হচ্ছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডেভিসিরের মতো ওষুধ গুলি খুব অল্পদিনেই গরমে আক্রান্ত কে সুস্থ করে তুলবে।’
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, ‘করোনা প্রতিষেধকের জন্য বোধহয় আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে। আর বড়জোর তিন মাস তারপরেই করোনা মুক্ত হবে পৃথিবী। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রা জেনিকা। উৎপাদনে গতি বাড়ানোর জন্য ভারতের এক সংস্থার সঙ্গেও জোট বেঁধেছে তারা। খুব তাড়াতাড়িই আমরা এই করোনা থেকে মুক্ত হতে পারব।’