‘জুমলা’ দেওয়ায় মোদী সরকারের জুড়ি মেলা ভার। বিগত কয়েক বছরে সে কথা ভালই টের পেয়েছে দেশবাসী। তবে এই করোনা পরিস্থিতিতেও সেই ধারা বজায় রেখেছে তারা। করোনা মোকাবিলায় রেলের ৫,৩০০ কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরের গালভরা ঘোষণা কি বাস্তবে অশ্বডিম্ব? এবার কেন্দ্রের ঘোষণা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এই প্রশ্নই তুলল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণার পর মার্চের শেষ সপ্তাহে রেল বলেছিল, তারা ২০ হাজার কোচে ৩ লক্ষ ২০ হাজার আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করতে তৈরি। প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার কোচে ৮০ হাজার বেডের কথা বলা হয়। দু’মাস পর রেলমন্ত্রী জানালেন, আইসোলেশনের জন্য মাত্র ১০টি কোচের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর সরকার করোনা নিয়ে প্রচারের চমককে অস্ত্র করেছে। প্রথমে ঘোষণা, তারপর সংবাদপত্রে শিরোনাম। তারপর কিছুই না করা, এটাই মোদী সরকারের কৌশল।’
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই লকডাউন ঘোষণা। কিছুদিন পর দেশে বিপুল সংখ্যক করোনা রোগী হবে, এটা আঁচ করে রেল কোচগুলোকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরের কথা বলা। এক্ষেত্রেও কোনও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। রাজ্যগুলোর এই ধরনের কোচের প্রয়োজন আছে কিনা, জানতে চাওয়া হয়নি। কিন্তু, পর্বতের মূষিক প্রসব। মাত্র ১০টি কোচ আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।’
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের টুইট, ‘করোনা রোগীদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দিল্লিতে শকুর বস্তি রেল স্টেশনে প্রথম দফার আইসোলেশন ওয়ার্ড পরিষেবা দিতে চলেছেন। আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ–সহ ১৬০ শয্যা বিশিষ্ট ১০টি শুদ্ধীকৃত কোচে আরামদায়কভাবে কোয়ারেন্টিন করে রাখা যাবে।’ ডেরেকের প্রশ্ন, তাহলে বাকি ৫,২৯০ কোচ কবে পাওয়া যাবে? সেগুলি কোথায়? রেল কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করার জন্য কত খরচ হয়েছে?