করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে সামনের সারিতে উঠে এসেছে ব্রাজিল। পেলে-গ্যারিঞ্চাদের দেশে লকডাউন শুরু হয়েছিল বেশ দেরিতেই। মাঝে গোটা দেশ ‘আনলক’ করে দেওয়া হয়। ফলে ফের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মারণ রোগ। পরিস্থিতি সামলাতে আবার লকডাউন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ব্যারেটোর পরিবার এখন পোর্তো অ্যালেগ্রেতে। সেখানেই চার সন্তানকে নিয়ে রয়েছেন স্ত্রী ভেরোনিকা। চলছে জীবনসংগ্রাম। আর তাই দেশ থেকে প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরে নভি মুম্বইয়ে থাকা ব্যারেটো এখন দারুণ উৎকণ্ঠায়।
ব্যারেটো বলছেন, ” ভেরোনিকা বেশ বুদ্ধিমতী। না হলে এই মহামারীর মধ্যে সংসারটাই ভেসে যেত। আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে জানি না। ব্রাজিলের অর্থনীতি তলানিতে ঠেকেছে। জানি, আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ অনাহারে মারা যাবে। এই মহামারীর মধ্যেও দেশের প্রেসিডেন্ট ফুটবল আবেগকে সামনে রেখে অন্য দিকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন। এরকম পরিস্থিতিতে ফুটবল কেন, কোনও খেলাই শুরু হতে পারে না। গত ন’মাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বলতে ভিডিও কলিং। আরব মহাসাগরে নিসর্গ আছড়ে পড়লে তা আর করতে পারব কিনা জানি না।”
ব্যারেটো বুধবার বাণিজ্য নগরীর পাঁচতারা আবাসন থেকে বললেন, ‘মুম্বইয়ে এসেছি সেই সেপ্টেম্বরে। এপ্রিলের পর অ্যাকাডেমিতে দু’মাসের ব্রেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু করোনার তাণ্ডবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ভারতের সবথেকে করোনা প্রবণ শহরে রয়েছি। মুম্বইয়ের পরিবেশ কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। অ্যাকাডেমির মাঠে শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিস করানো তো দূর অস্ত্, কেউই রাস্তায় বেরতে পারছে না। প্রথম দু’মাস আবাসনের মধ্যেই জগিং করতাম। কমপ্লেক্সের বাচ্ছাদের সঙ্গে মেতে উঠতাম ফান ফুটবলে। গত দু’সপ্তাহ সেটাও বন্ধ। ফ্ল্যাট-বন্দি হয়েই থাকতে হচ্ছে। বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অ্যাকাডেমির ২০ জন শিক্ষার্থী থেকে গিয়েছিল। সেটাই বাঁচোয়া। ওদের নিয়েই কোনওরকমে সময় কাটছে। বিভিন্ন ফুটবলারের জীবনকাহিনী শোনাচ্ছি। যাতে ওরা ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখতে পারে। তবে মন পড়ে আছে ব্রাজিলে।”