কদিকে দু’মুঠো ভাতের জন্য লড়ছে গরীব ভারত আর অন্য দিকে নষ্ট হচ্ছে গুদামে মজুদ হওয়া লক্ষ লক্ষ টন খাদ্যশস্য। মজুত হওয়া অতিরিক্ত শস্য কী ভাবে ভাল রাখা যায়, তা স্থির করাই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, গত চার মাসে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ৭.২ লক্ষ টন থেকে ৭১.৮ লক্ষ টনে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় এপ্রিল-মে মাসে যে পরিমাণ চাল ও গম সরবরাহ করা হয়েছে, তার চেয়েও পরিমাণে বেশি এই বিনষ্ট ফসলের পরিমাণ।
শুধু এ বছরই নয় গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে ফুড কর্পোরেশানের মাথাব্যথা এই উদ্বৃত্ত ফসল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শস্যকে দীর্ঘ সময় স্টোরেজে রাখার মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। এই কারণেই সরকারের ঘরে মজুত হওয়া শস্যের প্রায় ১১ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, করোনার অভিঘাতে কাজ খুইয়েছেন ৬৭ শতাংশ দেশবাসী। রোজগার কমেছে মোট ৬৩ শতাংশের। এই গবেষণা আরও জানাচ্ছে, ৭৪ শতাংশ ভারতবাসীই আজ কোনও রকমে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এক সপ্তাহের রেশনও নেই ৬১ শতাংশ দেশবাসীর ঘরে।
এই অবস্থায় এই বিপুল পরিমাণ শস্য অপচয় রোধ করার স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ যে কত জরুরি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।