সম্প্রতি লাদাখে এবং উত্তর সিকিমের নাকু লা অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল ভারত ও চীনের বাহিনী। তারপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চীন বিপুল সৈন্য সমাবেশ শুরু করার পরে। অবশেষে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর চীনের সেনা মোতায়েন করার কথা সরকারিভাবে স্বীকার করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। চীনা সেনা যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে, ঘুরিয়ে সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে রাজনাথ আশ্বস্ত করেছেন, চীনের এই আগ্রাসন রুখতে যা যা পদক্ষেপের প্রয়োজন, সব করছে ভারত।
গত প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষের বাতাবরণ সৃষ্টি হলেও সরকারিভাবে ভারত এ নিয়ে এর আগে মুখ খোলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনাথ বলেন, ‘এটা সত্যি যে, সীমান্তে চীনা সেনাও মোতায়েন আছে। ওদের দাবি, ওটা ওদের সীমানা। ভারতের দাবি, ওটা ভারতের সীমানা। এটা নিয়ে একটা মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। সীমান্তে একটা বড় সংখ্যার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। তবে ভারতের এখন যা যা করা উচিৎ সেটা ভারতও করছে।’
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে ইন্দো-চিন সীমান্তে। মাঝে মধ্যেই দুই দেশের সেনাদের আস্ফালনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর অস্ত্র ভান্ডার বাড়াচ্ছে চীন। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের উচ্চতম বিমানঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম গারি গুনশায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চীনা ফৌজ। জে-১১ ও জে-১৬ ফাইটারের পাশাপাশি নতুন করে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, জেড-২০ হেলিকপ্টার ও জিজে-২ ড্রোনও মোতায়েন করা হয়েছে।