পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার আক্রমণ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় ঢুকতে দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। বুধবার মোদী সরকারের তোলা এসব অভিযোগের এক এক করে জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ঢুকতে দিচ্ছে না। বাংলা ঢুকতে না দিলে এত লোক এলো কীভাবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। একমাত্র বাংলার সরকারই পরিযায়ীদের থেকে ট্রেনের ভাড়া নেয় নি। ধার-দেনা করে হলেও একমাত্র আমরাই এটা করেছি। অনেক জায়গায় শ্রমিকদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ১০ জুনের মধ্যে আরো ১০ লক্ষ মানুষ বাংলায় ঢুকছে। পরিযায়ীদের ফেরাতে সবরকম ব্যবস্থা করছে রাজ্য।’
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় উম্পুন পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে অন্যান্যদের সাহায্য ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ঝড়ের পর বিদ্যুৎ দপ্তর ভালো কাজ করেছে। কিছু জায়গায় জল জমে আছে। বাকি সব ঠিক হয়ে গেছে। আজ জেলাগুলোকে ডেকেছি। মৎসজীবীদের কথা বলব। অনেক ছোট নৌকো ভেঙে গেছে। ১০ হাজার টাকা করে নৌকা পিছু দেওয়া হবে। ছোট নৌকা সারানোর জন্য ১৭.২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মৎস্য দপ্তর। ৪ হাজার নৌকো মেরামতির টাকা দেওয়া হবে। ৩৭,০০০ হাজার জাল কিনে দেওয়া হবে। গবাদি পশুর জন্য ২৪ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। ১৪.১৪ কোটি হাস মুরগির ছানা। ৬ তারিখ জোয়ার আসছে তাই বাঁধ সারানোর চেষ্টা করছে। ম্যানগ্রোভ পুনর্নির্মাণ করা হবে। পরিবেশ দিবসে ৬ কোটি গাছ লাগানো হবে এক মাস ধরে। কলকাতায় ও হবে পুরসভা পুলিশ গাছ পুঁতবে। ওই দিন থেকে সবুজ সৃষ্টির জন্য নতুন করে নিয়োজিত হবে।’