ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজধানী দিল্লীতে। এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। কিন্তু দিল্লীও ধীরে ধীরে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে সবথেকে বেশি বেড়েছে। আর তারপরেই রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। আপাতত ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে দিল্লির সীমান্ত।
এদিন সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে সব পরিষেবা শুরু হচ্ছে। এই সময় বাইরে থেকে আসা মানুষদের জন্য দিল্লীতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যা হবে। তাই আগামী ১ সপ্তাহ আমরা সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারপর পরিস্থিতি অনুয়ায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জরুরি পরিষেবা ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতায়াত করতে পারবেন। পাস দেখালে তাঁদের সীমান্তে আটকানো হবে না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দিল্লীর সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরামর্শ নিয়েছেন। একবার সীমান্ত খুলে দিলেই গোটা দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য মানুষ দিল্লীতে আসতে শুরু করবেন। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। দিল্লীতে এই মুহূর্তে ৯৫০০ কোভিড-১৯ বেড রয়েছে। তাই সরকারের প্রথম গুরুত্ব রাজ্যের মানুষ। দিল্লীবাসীদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি থাকবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন কেজরি।
কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা আগেই দিল্লী-গুরুগ্রাম সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার। কয়েক দিন আগে এই সীমান্ত বন্ধ করেছিল তারা। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশিকা আসার পরে সীমান্ত খোলা হয়েছে। এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকারও দিল্লীর সঙ্গে নয়ডার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সীমান্ত এখনও বন্ধ রয়েছে। রবিবার নয়ডা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই সীমান্ত বন্ধ থাকবে।