একটানা লকডাউন সত্ত্বেও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা। যা রুখতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। এরইমধ্যে আগামী রবিবার শেষ হচ্ছে লকডাউনের চতুর্থ দফা। এই পরিস্থিতিতে রবিবারের পরে ১৩ টি শহরে কড়া বিধিনিষেধ চালু করা হতে পারে বলে খবর। কারণ দেশে যতজন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৭০ শতাংশই ওই ১৩ টি শহরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধির সঙ্গে দু’টি বৈঠক করে। তাতেই এই ইঙ্গিত মেলে। প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা। দ্বিতীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রসচিব অমিত শাহ।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকার একদফা নতুন গাইডলাইন ইস্যু করেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনমতো কোনও রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে। কিন্তু তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই কাজ করতে হবে। শহরে করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃতের সংখ্যা কত, কতদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে কতজনকে টেস্ট করা হয়েছে, তার হিসাব রাখতে হবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, শহরে কনটেনমেন্ট জোন ও বাফার জোনগুলির ম্যাপ তৈরি করতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করতে হবে কোনও করোনা রোগী আছেন কিনা। কীভাবে টেস্ট করতে হবে, তাও কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে।