পরিযায়ী শ্রমিকরা নিদারুণ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। লকডাউনের এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দ্বিতীয় দফার বর্ষপূর্তির দিন কার্যত স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠিতে মোদী বললেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ক্ষুদ্র শিল্পের কর্মী, কারিগর, হকার-সহ আমার দেশের একাংশের মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছেন৷।’ তাঁর কথায়, ‘দেশের মানুষের কষ্ট লঘু করত, সমস্যা সমাধানে আমরা এক জোট হয়ে কাজ করছি। আমরা দিনরাত এক করে কাজ করছি। আমার মধ্যে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশের কোনও ঘাটতি নেই৷ আমার আপনাদের উপর বিশ্বাস আছে, আপনাদের ক্ষমতা ও যোগ্যতা আমার চেয়ে অনেক বেশি৷’
করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব লড়াই করছে। আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘প্রত্যেক ভারতবাসীকেই গাইডলাইন মেনে চলা দরকার৷ মানুষ এখনও পর্যন্ত ধৈর্য রেখেছেন, পরেও রাখবেন৷ আমি সেটা বিশ্বাস করি। ঠিক এই কারণেই ভারত আজ অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো জায়গায় রয়েছে৷ আমরা জয়ের পথেই এগোচ্ছি৷ আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কাজেই জয় আসবে৷’
তবে বিরোধীদের একটা প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর সরকারের বর্ষপূর্তির দিনই কেন বেছে নিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য? আদৌ পরিযায়ী কিংবা দুঃস্থ মানুষগুলোর সমস্যা সমাধানে সরকার কী পদক্ষেপ করছে? তাঁদের জন্য কি কোনও আর্থিক সহাযতার ব্যবস্থা করেছে সরকার? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা৷