দিনের পর দিন আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। রোজই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আগেই আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। আর সোমবার ইরানকেও টপকে গিয়ে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম দশে ঢুকে পড়ে ভারত। তবে রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা ভাইরাস। এবার একদিনে সংক্রমণের ফের নয়া রেকর্ড দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে, ৩০ মে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৭৩৭৬৩। কোভিড-১৯ সংক্রমণে এ যাবৎ দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭১ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮২৩৭০ জন। এখন দেশে সুস্থতার হার ৪৭.৪০ শতাংশ। ভারতে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৮৬৪২২। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১১২৬৪ জন। দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক মহারাষ্ট্রে। কোভিড-১৯ সংক্রমণে এখানে মৃত্যুও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬২২২৮। মৃত্যু হয়েছে ২০৯৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৬৯৯৭ জন। ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে সব রাজ্যকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মুম্বইতে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। আক্রান্তের সংখ্যা ২০,২৪৬। মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৩১৩ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লী। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৩৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৭৮৪৬ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে গুজরাত। মোদী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৯৩৪। তবে এখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৮০ জনের। মহারাষ্ট্রের পর গুজরাতেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যার নিরিখে ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। সংক্রমণ সারিয়ে এখানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬১১ জন।