করোনা ভাইরাসের জেরে দীর্ঘ লকডাউন জারি থাকায় বাড়িতেই অবসর সময় কাটাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাই এইসময় ভারতীয় বোলারদের স্বাস্থ্য ধরে রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দিলেন জাতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তিনি বলছেন, ‘এই বিরতিকে সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে, এবং আরও অনেক শক্তিশালী হয়ে ফেরার চেষ্টা করা যেতে পারে।’
ক্রিকেট এখন অনেক বেশি ফিটনেস নির্ভর খেলায় পরিণত। ভারতই যেমন পরিচিত ছিল স্পিন এবং ব্যাটিংয়ের দেশ হিসেবে। কপিল দেবের আবির্ভাব ঘটলেও তিনি ফাস্ট বোলার নন, সুইং বোলার ছিলেন। কিন্তু এখন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবেরা নিয়মিত ভাবে ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে বল করে যেতে পারেন।
অরুণের ব্যাখ্যা, ‘অতীতের চেয়ে এখন সবচেয়ে বড় তফাত ট্রেনিংয়ে। এখনকার বোলাররা অনেক বেশি শক্তি-নির্ভর ট্রেনিং করছে। প্রত্যেকে কতটা ধকল নিচ্ছে, তা পরিমাপ করার অত্যাধুনিক প্রক্রিয়া রয়েছে। আগে এ সব ছিল না। তখন মাঠে এসে শুধু দৌড়ে দৌড়ে অক্লান্ত ভাবে বল করে যেতে হত বোলারদের। এখন শক্তি-নির্ভর ট্রেনিং করে ধারাবাহিক ভাবে উচ্চ গতিতে বল করতে পারে বুমরা-শামিরা।’
অরুণ এবং ট্রেনারের পরামর্শে এই শক্তি-নির্ভর ফিটনেস চর্চাই লকডাউনের সময় শামি, বুমরাদের অন্যতম সঙ্গী। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ। সম্প্রতি অরুণ ফাঁস করলেন, ‘ট্রেনার ভিডিও কল করে দেখে নিয়েছে, ছেলেদের কার বাড়িতে কী ধরনের জিমের যন্ত্রপাতি আছে। সেই অনুযায়ী, প্রত্যেককে ট্রেনিং সূচি বলে দেওয়া হয়েছে।’
বুমরার মতো কেউ, যিনি বড় ধরনের চোট থেকে ফিরছেন, তাঁর ক্ষেত্রে কি এই লকডাউন শাপে বর হয়ে দেখা দিতে পারে? তরতাজা হয়ে ফিরতে পারেন তিনি? অরুণের জবাব, ‘সেটা সময়ই বলবে। বুমরা ওর পুরনো শক্তি অনেকটা ফেরাতে পারবে ঠিকই। আবার এটাও ঠিক যে, চোট থেকে ফেরার পরে এখন ওকে বোলিংটাও নিয়মিত ভাবে করতে হত। সেটা তো আটকে রয়েছে।’