বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত ৫৬ লক্ষ ১৭ হাজার মানুষ। মৃত সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। এ দিকে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বহু দেশই লকডাউন শিথিল করে, আংশিক উড়ান পরিষেবাও চালু করে দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইক রায়ান জানালেন, ‘‘আমরা এখন সবে সংক্রমণের প্রথম ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে। দ্বিতীয় ঝড়ের ঢের বাকি। এখন প্রথম ঝড়ের দাপট সামলানোটাই চ্যালেঞ্জের।’’
বিশ্বে মোট করোনা-আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশই ইউরোপের। আমেরিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে দক্ষিণ আমেরিকা এবং ব্রাজিল ও ভারত।
করোনা সঙ্কটে বর্তমানে নাজেহাল বিশ্ব। বিশেষত যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অনেকেই নিজের-নিজের দেশে সর্বত্র লকডাউন তুলে দিতে চাইছেন। হু-কর্তা রায়ান তাই ব্রাজিলকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার মতো করেই বললেন, ‘‘সংক্রমণ যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন অর্থনীতির উপর যা-ই প্রভাব পড়ুক না কেন, এলাকা বুঝে লকডাউন না-তোলাই মঙ্গলের।’’
প্রসঙ্গত, ভাইরাস-ঘটিত মহামারি নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করতে গিয়ে চিনের ‘ব্যাট উম্যান’ তথা উহানের বিতর্কিত ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ডেপুটি-ডিরেক্টর শি জেংলি বললেন, ‘‘হালে যে নোভেল করোনাভাইরাসকে শনাক্ত করা গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আগামী দিনে আরও অনেক তেজি ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে হতে পারে আমাদের। আর যুদ্ধ জিততে হলে সব দেশকেই একজোট হয়ে লড়তে হবে। যে যা-ই গবেষণা করুক, তাতে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।’’