উম্পুন দুর্যোগ কেটে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরেও এখনও রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরেনি। সেই নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সিইইএসসি-র ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে, সিইএসসি-র ব্যর্থতার দায় যে তাঁর সরকারের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এদিন তা নিয়েও আক্ষেপ করেন মমতা।
তাঁর কথায়, ‘সিইএসসি তো আমাদের দফতর নয়। আগওর বাম আমলে সিইএসসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেটা নিয়েও রাজনীতি শুরু করল।’ তবে, সুন্দরবনের অবস্থা যে খুব খারাপ এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘সুন্দরবনের সর্বনাশ হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে সেখানে। জল না সরলে পুনরায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানো সম্ভব হচ্ছে না। সুন্দরবন, নামখানাতে নদী বাঁধের অবস্থা খারাপ। সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে চাষের জমি নষ্ট করছে।’
বাস্তবেই গোসাবা, ঝড়খালি, কুমিরমারি, আমতলির মতো একাধিক দ্বীপে ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বিদ্যুতের খুঁটি। ট্রান্সফর্মারগুলিও বিকল। গরিব মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বুকে জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুন্দরবনের মানুষজন। কিন্তু জল না সরলে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো সেখানে সম্ভব নয় বলেই এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিন জেলাশাসকদের উম্পুন বিপর্যস্ত এলাকার মানুষদের কাছে ত্রাণসামগ্রী এবং আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।