বুধবার নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকেই উম্পুনের গতি-প্রকৃতির ওপর নজর রেখেছিলেন তিনি। আর এই অতি প্রবল সাইক্লোন রাজ্যে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালানোর পরই দ্রুত তার মোকাবিলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেমন মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং ত্রাণ-পুনর্গঠনে হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন তিনি। তেমনি আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বাংলার জন্য ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যও আদায় করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি এবার উম্পুন-বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় উম্পুন যখন প্রবল তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখনই উত্তর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রসঙ্গে নবান্নের ‘ওয়ার-রুম’ থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘সর্বনাশ হয়ে গেল। ধ্বংস হয়ে গেল। ধ্বংসের সর্বনাশ হয়ে গেল উত্তর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।’ এরপর আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কপ্টারে উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ পরিদর্শন করে বসিরহাটে বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে এখানেই শেষ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর সফর। বরং বলা যেতে পারে সবে শুরু হচ্ছে। সেই সূত্রেই আগামীকাল, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মমতা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরের আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল আমি আবার নিজে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক জায়গায় যাব। পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, বাসন্তী, নামখানা, কাকদ্বীপ ঘুরে দেখব। তারপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করব।’ উল্লেখ্য, এদিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার মধ্যেই যেভাবে উম্পুন মোকাবিলা করছে রাজ্য, তা প্রশংসনীয় বলে জানান মোদী। তবে প্রধানমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পেয়েই থেমে থাকলেন না মমতা। সোমবার ঈদের পর ফের তিনি জেলা সফর শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানান, ‘মন্ত্রীদের একটা দল তৈরি করে দিয়েছি। তাঁরা বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে থাকবেন।’